করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কীট।
করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য যে টেস্ট যন্ত্র লাগে, তাকে কিট বলে। এখন এই কিটের সংখ্যা প্রয়োজন এর তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশের কিট একটু আলাদা রকমের। পশ্চিমবঙ্গে 40 টি কিট সংগ্রহ করা হয়েছে।
সার্স ভাইরাস টেস্টের কিট বানানোর কাঁচামাল থেকেই করোনা ভাইরাস টেস্টের কিট তৈরি করেছেন বাংলাদেশের গবেষক ড. বিজন কুমার শীল৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন এই কিট তৈরির গল্প এবং এর গুণের কথা৷
করোনা ভাইরাসের র্যাপিড টেস্ট কিট ‘গণস্বাস্থ্য র্যাপিড ডট ব্লট' আবিস্কার করেছেন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল৷ এখন সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার গবেষণা দলে সঙ্গে রয়েছেন তিনি৷ কিট সরকারে হাতে তুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন বলে জানান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আজ-কালের মধ্যে কাঁচামাল এসে যাবে৷ সরকারের আন্তরিক সহায়তায় সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে৷ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এই কিট আমরা দিতে পারবো৷’’
সার্স ভাইরাস পরীক্ষার কিটের পেটেন্ট ড. বিজন কুমারের নিজের৷ ২০০৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সিতে চাকুরি করার সময় এই কিট আবিস্কার করেন৷ ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস তৈরি করে তা থেকেই টেস্টিং কিট তৈরি করা হয় তখন৷
এবারও ল্যাবরেটেরিতে তৈরি করোনা ভাইরাসের একটি পার্টিকেল থেকে টেস্টিং কিট তৈরি হচ্ছে৷ তবে বাংলাদেশে ওই মানের ল্যাবরেটরি না থাকায় সেটা এখানে সম্ভব হচ্ছে না৷ যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল আনা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এবার আমরা যে পার্টিকেল আনছি সেটা নিরাপদ, বয়োলোজিক্যাল হ্যাজার্ড ফ্রি৷’’
ড. বিজন কুমার বলেন, ‘‘যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে৷ অন্যদিকে আরো অনেক দেশ কিট উৎপাদনের জন্য এই কাঁচামাল চায়৷ তাই চাহিদা অনেক৷ তবে আমরা কাঁচামাল পাচ্ছি এটাই আশার কথা৷’’
কিভাবে এই কিট আবিষ্কার করেছেন সেই কাহিনি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘২০০৩ সালের সার্স ভাইরাস আর এখনকার যে কোভিড-১৯ (করোনা)-এর বেশ মিল আছে৷ ৮০ ভাগ মিল আছে৷ ওটা ছিল সার্স করোনা ভাইরাস-১ এবং এখনকারটা সার্স করোনা ভাইরাস-২৷ নাম দেয়া হয়েছে কোভিড৷ আমি সিঙ্গাপুরে ল্যাবরেটরিতে এই ভাইরাসটি নিজে গ্রো করিয়ে কাছ থেকে দেখেছি, যেটা এই মুহূর্তে ভাবলে ভয় লাগে৷’’
করোনা নির্ণায়ক কিট।
করোনা নির্ণায়ক কিট।
No comments: